২০১৯ এর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে পানির অভাবে জিম্বাবুয়ের হোয়াঙ্গে ন্যাশনাল পার্কেই দুইশ’ হাতির মৃত্যু হয়েছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশে দেখা দিচ্ছে তীব্র খরা। জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়াসহ আফ্রিকার বেশকিছু দেশে পানির অভাবে মারা যাচ্ছে জিরাফ, মহিষ ও হরিণসহ অন্য প্রাণীরা।
পানির ভয়াবহ অভাব থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা মানুষও। বিশ্বের ৫০ কোটি মানুষ প্রচণ্ড পানি সংকটে ভোগে। সুপেয় পানির অভাবে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক মানুষ মৃত্যুবরণ করে।
বাংলাদেশে মাত্র ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি পান করে। ধীরে ধীরে রক্তের মধ্যে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশকে নোনাজল ধ্বংস করে দিচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের অনেক নদীর পানি আগের মত ব্যবহার করা যায় না। নোনার কারণে ঐসব অঞ্চলে অনেক ফসলই চাষ করা যাচ্ছে না। এছাড়া আর্সেনিক দূষণ আর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় পানীয় জলের সংকটে ভুগছে৷
জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ পর্যাপ্ত পানি পায় না। বলা হচ্ছে, আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ ৯শ’ ৩০ কোটি মানুষের মধ্যে ৭শ’ কোটিই পানির সমস্যায় পড়বেন। কাজেই এ সমস্যা মোকাবেলা করতে হলে পানির অপচয় রোধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আসুন পানি ব্যবহারে সতর্ক হই। আমাদের নদী, খাল, বিল, পুকুর, হাওরসহ সকল জলাশয় সংরক্ষণ করি এবং হিসেব করে পানি ব্যবহার করি। ভূগর্ভস্থ পানির অবাধ ব্যবহার, যত্রতত্র টিউবওয়েল বসানো এবং সাব মার্সিবল পাম্পের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধ করতে আওয়াজ তুলি।
0 Comments